লম্বা সময় কোনো পাত্রে রেখে পানি পান করার আগে কিছু বিষয় জানতে হবে। খাওয়ার টেবিলে কিংবা ঘরে রাখা বোতল, জগ, গ্লাসে সারারাত পড়ে থাকা পানি সকালে পান করাকে কেউ হয়ত বিপজ্জনক মনে করেন না। গাড়িতে কিংবা অফিসের পানির বোতলে থাকা পুরানো পানি বিশুদ্ধ হলে হয়ত দুএকবার ভাবা হয়। তবে তা গলায় ঢেলে দেন অনেকেই। বিশুদ্ধ হলেও এক বা একাধিক দিন কোনো পাত্রে সংরক্ষণ করা পানি পান করা আসলে কতটুকু নিরাপদ। পানির স্বাদ: রাতভর গ্লাসে ঢেলে রাখা পানি পরদিন সকালে পান করলে স্বাদটা অন্যরকম মনে হয়। এর কারণ হল ‘কার্বন-ডাই-অক্সাইড’। গ্লাস ভরা পানি ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত উন্মুক্ত রেখে দিলে বাতাসের ‘কার্বন-ডাই-অক্সাইড’ সেই পানিতে মিশে যেতে শুরু করে। এতে পানির অম্ল-ক্ষারের মাত্রা ভারসাম্য হারায় এবং পানি বিস্বাদ হয়ে যায়। তারপরও এই পানি পান করা নিরাপদ। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের বিশ্বাস, সাধারণ কলের পানি ছয় মাস পর্যন্ত ভালো থাকে। এই সময় অতিবাহিত হওয়ার পর সেই পানির ‘ক্লোরিন’ নষ্ট হয়ে এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, তাতে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্মাতে শুরু করে। পানি উষ্ণ পরিবেশে থাকলে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্মানোর প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। খোলা পাত্রের পানি: খোলা পাত্রে রাতভর বা তারও বেশি সময় রাখা পানি পান করা নিরাপদ নয়। কারণ, এই সময়ে পানিতে কী পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া, ধুলাবালি ও ক্ষতিকর ক্ষুদ্রকণিকা ওই পানির উপর পড়েছে তা কল্পনাতীত। বোতলের পানি: দীর্ঘক্ষণ বোতলে রেখে দেওয়া পানি পান করাও নিরাপদ নয়। কারণ মানুষ যখন বোতলে মুখ ঠেকিয়ে পানি করে তখন তার মুখ ও আশপাশের ত্বক থেকে মৃতকোষ, ধুলাবালি, ঘাম এবং লালারস বোতলের অবশিষ্ট পানিতে মিশে যায়। আর লালারসে যে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া মিশে তা সবাই জানেন। এই সবকিছুর মিশ্রণ যদি লম্বা সময় পড়ে থাকে তখন তাতে থাকা ব্যাক্টেরিয়া বংশবিস্তার করে। সেই পানি আবার পান করলে শরীরের সেসব ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে। যা থেকে নানান রোগ হতে পারে। আর সংক্রামক রোগাক্রান্ত কারও সঙ্গে পানি ভাগাভাগি করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। গাড়িতে থাকা পানি: রোদের তাপে গাড়িতে থাকা পানি দ্রুত গরম হয়ে যায়, ফলে ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তারের জন্য আদর্শ স্থানে পরিণত হয়। এছাড়াও ‘বিপিএ’ ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদানে তৈরি বোতল থেকে রাসায়নিক উপাদান পানিতে মিশতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পরামর্শ: ★ সারারাত পাত্রে থাকা পানি যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয় তবে পান করতে অসুবিধা নেই। ★ যে কোনো খোলা পাত্রে পানি রাখলে ঢেকে রাখতে হবে। ★ বোতল থেকে পানি পান করার সময় বোতলের মুখে নিজের মুখ স্পর্শ করানো যাবে না। আর তা করে ফেললে একবারেই সবটুকু পানি পান করে ফেলতে হবে। ★ পান করার পানি কখনই গাড়িতে ফেলে রাখা যাবে না। ★ গ্লাসে করে পানি পান করতে হবে সবসময়। আর তা প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে।


 লম্বা সময় কোনো পাত্রে রেখে পানি পান করার আগে কিছু বিষয় জানতে হবে। খাওয়ার টেবিলে কিংবা ঘরে রাখা বোতল, জগ, গ্লাসে সারারাত পড়ে থাকা পানি সকালে পান করাকে কেউ হয়ত বিপজ্জনক মনে করেন না। গাড়িতে কিংবা অফিসের পানির বোতলে থাকা পুরানো পানি বিশুদ্ধ হলে হয়ত দুএকবার ভাবা হয়। তবে তা গলায় ঢেলে দেন অনেকেই।

বিশুদ্ধ হলেও এক বা একাধিক দিন কোনো পাত্রে সংরক্ষণ করা পানি পান করা আসলে কতটুকু নিরাপদ।
পানির স্বাদ: রাতভর গ্লাসে ঢেলে রাখা পানি পরদিন সকালে পান করলে স্বাদটা অন্যরকম মনে হয়। এর কারণ হল ‘কার্বন-ডাই-অক্সাইড’। গ্লাস ভরা পানি ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত উন্মুক্ত রেখে দিলে বাতাসের ‘কার্বন-ডাই-অক্সাইড’ সেই পানিতে মিশে যেতে শুরু করে। এতে পানির অম্ল-ক্ষারের মাত্রা ভারসাম্য হারায় এবং পানি বিস্বাদ হয়ে যায়। তারপরও এই পানি পান করা নিরাপদ।
বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের বিশ্বাস, সাধারণ কলের পানি ছয় মাস পর্যন্ত ভালো থাকে। এই সময় অতিবাহিত হওয়ার পর সেই পানির ‘ক্লোরিন’ নষ্ট হয়ে এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, তাতে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্মাতে শুরু করে। পানি উষ্ণ পরিবেশে থাকলে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক জন্মানোর প্রক্রিয়া দ্রুত হয়।
খোলা পাত্রের পানি: খোলা পাত্রে রাতভর বা তারও বেশি সময় রাখা পানি পান করা নিরাপদ নয়। কারণ, এই সময়ে পানিতে কী পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া, ধুলাবালি ও ক্ষতিকর ক্ষুদ্রকণিকা ওই পানির উপর পড়েছে তা কল্পনাতীত।
বোতলের পানি: দীর্ঘক্ষণ বোতলে রেখে দেওয়া পানি পান করাও নিরাপদ নয়। কারণ মানুষ যখন বোতলে মুখ ঠেকিয়ে পানি করে তখন তার মুখ ও আশপাশের ত্বক থেকে মৃতকোষ, ধুলাবালি, ঘাম এবং লালারস বোতলের অবশিষ্ট পানিতে মিশে যায়। আর লালারসে যে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া মিশে তা সবাই জানেন। এই সবকিছুর মিশ্রণ যদি লম্বা সময় পড়ে থাকে তখন তাতে থাকা ব্যাক্টেরিয়া বংশবিস্তার করে। সেই পানি আবার পান করলে শরীরের সেসব ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে। যা থেকে নানান রোগ হতে পারে। আর সংক্রামক রোগাক্রান্ত কারও সঙ্গে পানি ভাগাভাগি করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
গাড়িতে থাকা পানি: রোদের তাপে গাড়িতে থাকা পানি দ্রুত গরম হয়ে যায়, ফলে ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তারের জন্য আদর্শ স্থানে পরিণত হয়। এছাড়াও ‘বিপিএ’ ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদানে তৈরি বোতল থেকে রাসায়নিক উপাদান পানিতে মিশতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
পরামর্শ:
★ সারারাত পাত্রে থাকা পানি যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয় তবে পান করতে অসুবিধা নেই।
★ যে কোনো খোলা পাত্রে পানি রাখলে ঢেকে রাখতে হবে।
★ বোতল থেকে পানি পান করার সময় বোতলের মুখে নিজের মুখ স্পর্শ করানো যাবে না। আর তা করে ফেললে একবারেই সবটুকু পানি পান করে ফেলতে হবে।
★ পান করার পানি কখনই গাড়িতে ফেলে রাখা যাবে না।
★ গ্লাসে করে পানি পান করতে হবে সবসময়। আর তা প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post