পানি সম্পর্কিত জানা-অজানা তথ্যসমূহবাংলাদেশের শতকরা ২৪ ভাগ রোগ পানিবাহিত।


 পানি সম্পর্কিত জানা-অজানা তথ্যসমূহবাংলাদেশের শতকরা ২৪ ভাগ রোগ পানিবাহিত। একজন মানুষের সুস্থ্যভাবে জীবন যাপনের জন্য দৈনিক কমপক্ষে ২-৩ লিটার বিশুদ্ধ পানি পান করা প্রয়োজন। মানব দেহ গঠনের বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে পানির পরিমাণ ৭০ ভাগ। গোটা পৃথিবীতে পান যোগ্য পানির পরিমাণ শতকরা ২ ভাগ। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার জরিপে দেখা গিয়েছে জীবননাশী ক্যান্সার শতকরা ৭৫-৮০ ভাগই পানি এবং পরিবেশ থেকে সৃষ্ট হয়ে থাকে। সর্বশেষ সমীক্ষায় পানিতে সনাক্তকৃত জৈব পদার্থের সংখ্যা প্রায় ৭০০টি, যার কিছু অংশ ক্যান্সার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে এবং মহিলাদের বিভিন্ন ধরনের জরায়ু সংক্রান্ত ও মূত্রনালীর বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের জন্য দায়ী। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমরা যে পানি পান করি কিংবা আমাদের প্রচলিত বিশুদ্ধ করণ প্রক্রিয়াটি কি সঠিক? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন ধরনের প্রচলিত পদ্ধতি হচ্ছে-

পানি ফুটানো বা সিদ্ধ করণপ্রণালীঃ
ফুটন্ত পানি কি শতভাগ বিশুদ্ধ ? পানি সিদ্ধ করণ পদ্ধতিটির বৈজ্ঞানিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা নেই।
সাধারণত ১২০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রায় পানি ফুটে এবং পানি ফুটানোর ফলে ব্যাকটেরিয়া ও কিছু কিছু ভাইরাস মারা যায় আবার কিছু ভাইরাস অধিক তাপমাত্রার কারণে আত্নরক্ষামূলক সিস্ট তৈরী করে এবং উপযোগী পরিবেশে সিস্ট ভেঙ্গে মানব দেহের ক্ষতি সাধন করে।
পানি ফুটানোর ফলে আমাদের চোখে অদৃশ্যমান ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের মৃতদেহ কিন’ পানিতেই থেকে যায় এবং উক্ত পানি পান করার পর এই মৃতদেহ গুলো মানবদেহে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হিসাবে কাজ করে, যা আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর।
পানি ফুটানোর ফলে আমাদের চোখে অদৃশ্যমান ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের মৃতদেহ কিন্তু পানিতেই থেকে যায় এবং উক্ত পানি পান করার পর এই মৃতদেহ গুলো মানবদেহে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হিসাবে কাজ করে, যা আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর।
পানি ফুটালে পানিতে দ্রবীভূত বিভিন্ন জৈব ও অজৈব পদার্থ যেমন: আর্সেনিক, আয়রণ, সীসা, মার্কারী, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি সহ সকল প্রকার ক্ষতিকারক ধাতব পদার্থ, ময়লা এবং বালিকণা পানি থেকে অপরারিত হয় না, যা আমাদের স্বাস্থের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
ডিষ্টিলেশন পদ্ধতি:
এই প্রক্রিয়ায় দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমান 2 PPM (Parts Per Million) থাকে যা পানের অনুপযোগী।
ওজোনেশন পদ্ধতি:
দ্রবীভূত অনাকাঙ্খিত রাসায়নিক পদার্থের পরিমাণ অপরিবর্তীত থাকে যা আমাদের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর।
UV (Ultra Violet) পদ্ধতি:
এই প্রক্রিয়াটি অত্যান্ত ব্যয় বহুল এবং কার্যকারিতার দিক দিয়েও পিছিয়ে। যেমন: UV Ray- এর মাধ্যমে প্রবাহমান পানি সম্পূর্ণ রূপে বিশুদ্ধ হয় না। ক্ষতিকারক ভাইরাস এর তেমন পরিবর্তন হয় না এবং অজৈব পদার্থের পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে। এটি Nephelometric Turbidity Units (NTU) কর্তৃক প্রমাণিত।
বাংলাদেশে পরীক্ষিত প্রায় ১৪ লক্ষ টিউবওয়েল এর মধ্যে আর্সেনিক বিদ্যমান, যা ত্বকের ক্যান্সার ও শারীরিক অসুস্থতার জন্য দায়ী। Supply Water- এ ক্লোরিন সহ অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থের আধিক্যতা রয়েছে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাহলে আসুন জেনে নেই সারা বিশ্বে পানি বিশুদ্ধ করণে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত সর্বাধুনিক প্রক্রিয়া। প্রক্রিয়াটির নাম হচ্ছে- “Reverse Osmosis” (রিভার্স অসমোসিস)।
রিভার্স অসমোসিস কি এবং এটি কিভাবে পানিকে বিশুদ্ধ করে :
Reverse Osmosis প্রক্রিয়ায় বেশী ঘনত্বের দ্রবণ, কম ঘনত্বের দিকে ধাবিত হয় অর্থাৎ রিভার্স অসমোসিস হচ্ছে অভিস্রবণের বিপরীতধর্মী প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় পানিকে অসমোটিক প্রেসার (>২০০ psi) এর মাধ্যমে “Reverse osmosis Membrane” এর দিকে ধাবিত করে এবং উক্ত মেমব্রেনের ০.০০০১ মাইক্রনের অর্ধভেদ্য পর্দা দিয়ে কোন ধরনের ক্ষতিকারক পদার্থ যেতে পারে না। শুধুমাত্র পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন ও মিনারেল সমৃদ্ধ শতভাগ পানি Pressured Air Tight পানি ট্যাঙ্কে জমা হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্র অনুজীবের ব্যাস হচ্ছে ০.০১ মাইক্রন যা RO মেমব্রেনের প্রতিটি ছিদ্রের ব্যাসের চাইতে ১৫ গুন বড়, যার ফলে RO প্রক্রিয়ায় কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস পানিতে থাকে না এং সব সময় পানি থাকে শতভাগ বিশুদ্ধ। অপরদিকে ক্ষতিকারক পদার্থ, ময়লা, বালিকণা ড্রেনেজ লাইন দিয়ে বের হয়ে যায়।
রিভার্স অসমোসিসের উপকারিতা:
রিভার্স অসমোসিস প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন পানিতে অপ্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ থাকে না, তাই এই পানি পান করলে কিডনির উপর চাপ অনেকাংশে কমে যায়।
এই প্রক্রিয়ায় কোন ধরনের তাপ প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না এবং তাপ প্রয়োগ ব্যতীত পানি শতভাগ বিশুদ্ধ হয় যা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এই পিউরিফিকেশন সিস্টেম ৬টি স্তরে পরিশোধনের মাধ্যমে পানিকে করে সম্পূর্ণ নিরাপদ।
এই প্রক্রিয়ার সাহায্যে সকল প্রকার পানি বিশুদ্ধ করা সম্ভব এবং উৎপন্ন পানি মানব দেহের জন্য খুবই উপযোগী।
এই প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন পানি দিয়ে ভাত রান্না করলে ভাত নরম হয় না। চা-কফি অত্যান্ত সু-স্বাদু হয় যা বহুল আলোচিত।
আসুন এবার জেনে নেই ‘‘Reverse Osmosis” পদ্ধতিটির বৈজ্ঞানিক ভাবে গ্রহণ যোগ্যতাকতটুকু? ‘‘রিভার্স অসমোসিস” পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়াটি The Public Health and Safety organization (NSF)/ANSI, EPA (Environmental Protection Agency) কর্তৃক স্বীকৃত এবং আন্তজার্তিক ভাবে ISO 9001 : 2008 সনদপ্রাপ্ত। সুতরাং Hanzo Water কর্তৃক সরবরাহকৃত Reverse Osmosis Purifier- এর পানি পান করে আপনি এবং আপনার পরিবার থাকুন সম্পুর্ণ নিশ্চিন্ত।

Post a Comment

Previous Post Next Post